Jun 21, 2012

৬৮২

ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


"লজ্জাশীলতা কল্যাণই বয়ে আনে" [বুখারী ও মুসলিম]


মুসলিমের এক বর্ণনায় এরূপ রয়েছেঃ "লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণময়।"


*রিয়াদুস সলিহীন : ৬৮২

৬৮৪

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র পর্দানশীন কুমারী মেয়েদের চাইতেও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। কোন বিষয় তাঁর দৃষ্টিতে অপছন্দনীয় হলে তাঁর চেহারা দেখেই আমরা তা (তাঁর অসন্তুষ্টি) আঁচ করে নিতাম।" [বুখারী, মুসলিম]

*রিয়াদুস সলিহীন : ৬৮৪



বিশেষজ্ঞ আলিমগণ লজ্জাশীলতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেনঃ এটি এমন একটি গুণ যা ঘৃণিত ও বর্জনীয় জিনিস পরিহার করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এবং প্রাপকের প্রাপ্য যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে বাধ্য করে। আবুল কাসিম জুনাইদ (র) লজ্জাশীলতার নিম্নোক্ত সংজ্ঞা দিয়েছেনঃ

লজ্জাশীলতা হলো, মানুষ প্রথমত আল্লাহর অপরিসীম দয়া, অনুগ্রহ ও ইহসানের প্রতি লক্ষ্য করবে, তারপর নিজের ত্রুটি ও অক্ষমতা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করবে। এ উভয়বিধ চিন্তার ফলে মানসপটে যে ভাবের উদয় হয়, তাকেই বলা হয় লজ্জাশীলতা।



৫১৭

আবু উমামা ইয়াস ইবনে সালাবা আল-আনসারী আল-হারিসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণ তাঁর কাছে দুনিয়া সম্পর্কে আলোচনা করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমরা কি শুনছো না, তোমরা কি শুনছো না? আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা ত্যাগ করা ঈমানের লক্ষণ, আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা ত্যাগ করা ঈমানের নিদর্শন অর্থাৎ সাদাসিধা ও অনাড়ম্বর জীবন যাপন)"। [আবু দাউদ]
   
 * রিয়াদুস সালেহীন : ৫১৭

৫১৯

আসমা বিনতে ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জামার আস্তিন ছিলো কব্জি পর্যন্ত।” [আবু দাউদ, তিরমিযি]
 * রিয়াদুস সালেহীন : ৫১৯

৫১৪

হযরত ইবনুল আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একনাগাড়ে কয়েকদিন পর্যন্ত ভুখা থাকতেন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনের রাতের খাবার জুটতো না। প্রায়শই তাদের খাদ্য ছিলো যবের রুটি।” [তিরমিযি]
   
 * রিয়াদুস সালেহীন:৫১৪

৫০৭

হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 
  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চামড়ার একটা বিছানা ছিলো, এর ভেতরে ভরা ছিলো খেজুরের ছাল।” [বুখারী]
   
 * রিয়াদুস সালেহীন: ৫০৭

Jun 20, 2012

৬৩৭

হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ 
  
“তোমরা সহজ নীতি ও আচরণ অবলম্বন করো, কঠোর নীতি অবলম্বন করো না। সুসংবাদ শুনাতে থাকো এবং পরস্পর ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িও না।” [বুখারী ও মুসলিম]
  
 * রিয়াদুস সালেহীন: ৬৩৭

৫৯০

হযরত নাওয়াস ইবনে সাম'আন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ 
  
“পুণ্য ও সততা সচ্চরিত্রেরই অপর নাম। গুনাহ হলো সেই জিনিস যা তোমার অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং লোকে জেনে ফেলুক তা তুমি অপছন্দ করো।” [মুসলিম]
   
 * রিয়াদুস সালেহীন: ৫৯০

৬৭৪

হযরত আবু সাঈদ আবদুর রহমান ইবনে সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ 
 
“হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! নেতৃত্বপ্রার্থী হয়ো না। কারণ প্রার্থী না হয়ে নেতৃত্ব প্রাপ্ত হলে তুমি এ ব্যাপারে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। পক্ষান্তরে প্রার্থী হয়ে নেতৃত্ব লাভ করলে তোমার উপরেই যাবতীয় দ্বায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে। তুমি কোন বিষয়ে শপথ করার পর তার বিপরীতে কল্যাণ লক্ষ্য করলে তখন যেটা ভালো সেটাই করবে এবং শপথের কাফফারা আদায় করবে।” [বুখারী ও মুসলিম]



* রিয়াদুস সালেহীন : ৬৭৪

Jun 17, 2012

৪৬১

হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

"তিনটি জিনিস মৃতের পেছনে পেছনে (কবর পর্যন্ত) যায়ঃ তার পরিজন, তার ধন-সম্পদ ও তার আমল (নেক বা বদ)। অতঃপর দু'টি ফিরে আসে এবং একটি (তার সাথে) থেকে যায়। তার পরিজন ও সম্পদ ফিরে আসে এবং তার আমল তার সাথে থেকে যায়।" [বুখারী ও মুসলিম]

** রিয়াদুস সালেহীনঃ ৪৬১

Jun 11, 2012

১২৫

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"ঈমানের ৭০-এর কিছু বেশি অথবা ৬০-এর কিছু বেশি শাখা-প্রশাখা আছে। তন্মধ্যে উত্তম হচ্ছে "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ" বলা, আর নিম্নতম হচ্ছে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা। আর লজ্জাও ঈমানের একটি শাখা।" [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সলিহীন : ১২৫

১২৭

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"আমি এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়েছি, যে জান্নাতে এ জন্য চলাফেরা করছে যে, সে একটা পথের উপর থেকে একটা গাছ কেটে ফেলে দিয়েছিলো। এটা মুসলিমদেরকে কষ্ট দিচ্ছিলো।" [মুসলিম]

* রিয়াদুস সলিহীন : ১২৭

Jun 9, 2012

৪৮৫

হযরত কা'ব ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"সম্পদ ও আভিজাত্যের প্রতি মানুষের লোভ তার দ্বীনের যে মারত্মক ক্ষতি করে, বকরীর পালে ছেড়ে দেয়া দু'টি ক্ষুধার্ত নেকড়েও বকরীর পালের ততো ক্ষতি করতে পারেনা।" [তিরমিযি]

* রিয়াদুস সলিহীন : ৪৮৫

৪৯১

হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত তার পরিবার কোনদিন একনাগাড়ে দু'দিন পেটপুরে যবের রুটিও খেতে পায়নি।" [বুখারী ও মুসলিম]

অপর এক বর্ণনায় আছেঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মদীনা আসার পর থেকে তার ইন্তিকাল পর্যন্ত তার পরিবারের লোকজন একনাগাড়ে তিনদিন পেট ভরে গমের রুটিও খেতে পায়নি।


* রিয়াদুস সলিহীন : ৪৯১

৮৪১

হযরত আবু সাঈদ আল খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ
 
"তোমাদের কেউ তার পছন্দনীয় স্বপ্ন দেখলে সেটা হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে। তার জন্য আল্লাহর প্রশংসা করা এবং (বন্ধুদের) কাছে তা বিবৃত করা উচিত। অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ তখন সে যাকে ভালোবাসে তাকে ছাড়া আর কাউকে সেটা না বলা উচিত। আর সে যদি অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখে তাহলে এটা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। তার ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া এবং কারো কাছে তা বর্ণনা না করা উচিত। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। " [বুখারী ও মুসলিম]


* রিয়াদুস সলিহীন : ৮৪১

Jun 6, 2012

১৮১

হযরত আবু রুকাইয়া তামীম ইবন আওস আদ-দারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"দ্বীন (ইসলামের মূল কথা) হচ্ছে জনগণের কল্যাণ কামনা করা। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, কার জন্য? তিনি বললেনঃ মহান আল্লাহ তাঁর কিতাব, তার রাসূল, মুসলমানদের, ইমাম (নেতা) এবং সমস্ত মুসলমানদের জন্য।" [মুসলিম]


* রিয়াদুস সলিহীন : ১৮১

Jun 4, 2012

২৩৩

হযরত ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলুম করতে পারে আর না তাকে শত্রুর হাতে সোপর্দ করতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয়, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের কোন কষ্ট বা অসুবিধা দূর করে দেয়, এর বিনিময়ে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার কষ্ট ও বিপদ থেকে অংশবিশেষ দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।" [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ২৩৩

৩৪০

হযরত মুগীরা ইবনে শু'বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"আল্লাহ তা'আলা পিতামাতাকে কষ্ট দেয়া, কৃপণতা করা, অবৈধভাবে অন্যের মাল দাবী করা এবং কন্যা সন্তানের জীবন্ত প্রোথিত করা তোমাদের প্রতি হারাম করে দিয়েছেন। নিরর্থক ও অপ্রয়োজনীয় কথা বলা, অধিক চাওয়া এবং সম্পদ বিনষ্ট করা তিনি তোমাদের জন্য অপছন্দ করেছেন।" [বুখারী ও মুসলিম]


* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ৩৪০

Jun 3, 2012

৩০৮

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
 
"যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানের ইজ্জত করে আদর-আপ্যায়ন করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে, অথবা নীরব থাকে।"  [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ৩০৮

২৭৩

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ
"আমার কাছ থেকে মেয়েদের সাথে সদ্ব্যবহার করার শিক্ষা গ্রহণ কর। কেননা নারী জাতিকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে ওপরের হাড়টা সর্বাপেক্ষা বাঁকা। অতএব তুমি যদি সোজা করতে যাও, তবে ভেঙ্গে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি ফেলে রাখ তবে বাঁকা হতেই থাকবে। অতএব, নারীদের সাথে ভালো ব্যবহার কর। "  [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ২৭৩

Jun 2, 2012

২২৯

হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন কাজ (ইবাদত) করার ঐকান্তিক আগ্রহ থাকা সত্বেও তা পরিত্যাগ করতেন এই ভয়ে যে, লোকেরা (তার দেখাদেখি) তা নিয়মিত করতে থাকবে। ফলে এটা তাদের ওপর ফরয করে দেয়া হবে।" [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ২২৯

২২৬

হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
"কতিপয় আরব বেদুইন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এল। তারা জিজ্ঞেস করলো, আপনারা কি আপনাদের ছোট্ট শিশুদের চুমু খান? তিনি বললেনঃ হাঁ। তারা বললো, আল্লাহর কসম! আমরা কিন্তু চুমু দেইনা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আমি কি এর মালিক বা জিম্মাদার হতে পারি, যদি মহান আল্লাহ তোমাদের অন্তর থেকে রহমত ও অনুগ্রহকে তুলে নিয়ে নেন?" [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ২২৬

২১০

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"কোন ব্যক্তির ওপর তার অপর ভাইয়ের যদি কোন দাবী থাকে, তা যদি তার মান-ইজ্জতের ওপর অথবা অন্য কিছুর ওপর যুলুম সম্পর্কিত হয়, তবে সে যেন আজই কপর্দকহীন নিঃস্ব হওয়ার পূর্বে তার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করে নেয়। অন্যথায় (কিয়ামতের দিন) তার যুলুমের সমপরিমাণ নেকী তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হবে। যদি তার কোন নেকী না থাকে তবে তার প্রতিপক্ষের গুনাহ থেকে (যুলুমের সমপরিমাণ) তার হিসাবের অন্তর্ভুক্ত করে দেয়া হবে।"  [বুখারী]

* রিয়াদুস সালেহীন - ২১০