Mar 27, 2012

২৪৯

হযরত উম্মে কুলসুম (রা) বর্ননা করেন, আমি রাসূলে আকরাম (সা) কে বলতে শুনেছি, কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে পরস্পর বিরোধী দুই ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন করে দেয়, সে মিথ্যাবাদী নয়
(বুখারী ও মুসলিম থেকে রিয়াদুস সলিহীনঃ ২৪৯)


মুসলিমের অপর এক বর্ননায় এসেছে, উম্মে কুলসুম (রা) আরো বর্ননা করেনঃ আমি রাসুল (সা) কে মাত্র তিনটা ক্ষেত্রে মিথ্যা বলার অনুমতি দিতে শুনেছিঃ
১। বিবদমান দুই দলের মধ্যে মিথ্যা বলার মাধ্যমে মৈত্রী স্থাপন করে দেয়া
২। যুদ্ধের ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া (তথ্য গোপন করা)
৩। স্বামী-স্ত্রীর একান্ত কথা বার্তায় মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া

Mar 23, 2012

১১২৭

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বর্ণনা করেন, 
রাসুলে আকরাম (সা) জুম'আর (ফরজ) নামাজের পর বাসায় ফিরে যেতেন এবং বাসায় দুই রাকায়াত সুন্নত নামাজ আদায় করতেন [মুসলিম]
  * রিয়াদুস সলিহীন

১১২৬

হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ 
"যখন তোমাদের কেউ জুম'আর নামায আদায় করল তখন সে যেন তারপর চার রাকায়াত সুন্নত নামায পড়ে" [মুসলিম]

**  রিয়াদুস সলিহীন - ১১২৬

১০৯৮

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বলেন,
"রাসুলুল্লাহ (সা) এর সঙ্গে জুম'আর পর দুই রাকায়াত (সুন্নত) নামায পড়েছেন।"[বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সলিহীন - ১০৯৮

Mar 22, 2012

১২১

 হযরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


"কোন সৎকাজকে অবজ্ঞা করো না, যদিও তা তোমার ভাই এর সাথে হাসিমুখে সাক্ষাত করার কাজ হয়।" [মুসলিম]




রিয়াদুস সলিহীন [প্রথম খন্ড] ১২১

১০১

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


"দোযখকে লোভনীয় জিনিস দিয়ে আড়াল করে রাখা হয়েছে। আর জান্নাতকে দুঃখ-কষ্টের আড়ালে রাখা হয়েছে।" [বুখারী ও মুসলিম]



সূত্রঃ রিয়াদুস সলিহীন [প্রথম খন্ড] ১০১

৪৩৬

হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


আল্লাহ সেই বান্দার উপর অবশ্যই সন্তুষ্ট থাকেন, যে এক গ্রাস খাদ্য গ্রহণ করেই তাঁর প্রশংসা করে এবং এক ঢোক পানীয় পান করেই তাঁর প্রশংসা করে (আলহামদুলিল্লাহ বলে)। [মুসলিম]



* রিয়াদুস সালেহীন (২য় খন্ড) — ৪৩৬ 

৪৩৩

ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ




কিয়ামাতের দিন মুমিন ব্যক্তিকে তার রবের কাছে নিয়ে আসা হবে, এমনকি তিনি তাকে তার রহমতের পর্দায় ঢেকে রাখবেন। অতঃপর তিনি তাকে তার সমস্ত গুনাহর কথা স্বীকার করাবেন এবং বলবেনঃ তুমি কি এই গুনাহ চিনতে পারছো, তুমি কি এই গুনাহ চিনতে পারছো? সে বলবে, হে আমার রব! আমি চিনতে পারছি। তিনি বলবেন, দুনিয়ায় আমি এটা তোমার পক্ষ থেকে ঢেকে রেখেছিলাম, আর আজ এটা তোমাকে মাফ করে দিচ্ছি। অতঃপর তাকে সৎ কাজসমূহের একটি আমলনামা দান করা হবে। [বুখারী ও মুসলিম]




* রিয়াদুস সালেহীন (২য় খন্ড) — ৪৩৩

৪২২

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


সেই মহান সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার জীবন! তোমরা যদি গুনাহ না করতে, তাহলে আল্লাহ তোমাদের তুলে নিয়ে যেতেন এবং তোমাদের জায়গায় এমন জাতিকে আনতেন, যারা গুনাহ করে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতো, অতঃপর আল্লাহ তাদের মাফ করে দিতেন”। [মুসলিম]


* রিয়াদুস সালেহীন (২য় খন্ড) — ৪২২

৪১৩

আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ  

মহান আল্লাহ বলেনঃ যে ব্যক্তি একটি সৎ কাজ করবে, সে এর দশগুণ অথবা অধিক সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি একটি অন্যায় করবে, সে তেমনি একটি অন্যায়ের শাস্তি পাবে অথবা আমি মাফ করে দেবো। যে ব্যক্তি আমার এক বিঘত নিকটবর্তী হবে, আমি তার এক হাত নিকটবর্তী হবো; যে ব্যক্তি আমার এক হাত নিকটবর্তী হবে, আমি তার দুই হাত নিকটবর্তী হবো। যে ব্যক্তি হেঁটে হেঁটে আমার দিকে আসবে আমি দৌড়ে তার দিকে যাবো। যে ব্যক্তি পৃথিবী সমান গুনাহ নিয়ে আমার সাথে সাক্ষাত করবে, অথচ যে আমার সাথে কোন কিছু শরীক করেনি, আমি তার সাথে অনুরূপ (পৃথিবীভর্তি) ক্ষমা নিয়ে সাক্ষাত করবো। [মুসলিম]



* রিয়াদুস সালেহীন (২য় খন্ড) — ৪১৩

৪৭২



আবুল আব্বাস সাহল ইবনে সা’দ আস-সায়েদী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ


“এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কোন কাজ বলে দিন, যখন আমি তা করবো তখন আল্লাহ আমাকে ভালোবাসবেন এবং মানুষও আমাকে ভালোবাসবে। তিনি বলেন, তুমি দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হও, আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসবেন এবং মানুষের কাছে যা আছে, তার প্রতিও অনাসক্ত হও তাহলে মানুষও তোমাকে ভালোবাসবে।” [ইবনে মাজাহ]




* রিয়াদুস সালেহীন (২য় খন্ড) — ৪৭২