হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন কাজ (ইবাদত) করার ঐকান্তিক আগ্রহ থাকা সত্বেও তা পরিত্যাগ করতেন এই ভয়ে যে, লোকেরা (তার দেখাদেখি) তা নিয়মিত করতে থাকবে। ফলে এটা তাদের ওপর ফরয করে দেয়া হবে।" [বুখারী ও মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন - ২২৯
হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
"কতিপয় আরব বেদুইন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এল। তারা জিজ্ঞেস করলো, আপনারা কি আপনাদের ছোট্ট শিশুদের চুমু খান? তিনি বললেনঃ হাঁ। তারা বললো, আল্লাহর কসম! আমরা কিন্তু চুমু দেইনা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আমি কি এর মালিক বা জিম্মাদার হতে পারি, যদি মহান আল্লাহ তোমাদের অন্তর থেকে রহমত ও অনুগ্রহকে তুলে নিয়ে নেন?" [বুখারী ও মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন - ২২৬
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
"কোন ব্যক্তির ওপর তার অপর ভাইয়ের যদি কোন দাবী থাকে, তা যদি তার মান-ইজ্জতের ওপর অথবা অন্য কিছুর ওপর যুলুম সম্পর্কিত হয়, তবে সে যেন আজই কপর্দকহীন নিঃস্ব হওয়ার পূর্বে তার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করে নেয়। অন্যথায় (কিয়ামতের দিন) তার যুলুমের সমপরিমাণ নেকী তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হবে। যদি তার কোন নেকী না থাকে তবে তার প্রতিপক্ষের গুনাহ থেকে (যুলুমের সমপরিমাণ) তার হিসাবের অন্তর্ভুক্ত করে দেয়া হবে।" [বুখারী]
* রিয়াদুস সালেহীন - ২১০