হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বর্ননা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ
"তোমরা উটের ন্যায় একইবারে (অর্থাৎ এক নিশ্বাসে) পানি পান করো না। দুই-তিনবার শ্বাস নিয়ে পান করো। আর পানি পান করার সময় 'বিসমিল্লাহ' এবং পান শেষ হলে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলো" [তিরমিযি]
রিয়াদুস সলিহীনঃ ৭৫৮
সহীহ ও গুরুত্বপূর্ণ হাদিস সংবলিত এবং বিশ্বের অসংখ্য ভাষায় বহুল প্রচারিত গ্রন্থ 'রিয়াদুস সালেহীন'
May 31, 2012
৯৮১
হযরত আবু মুসা আশ-আরি (রা) বর্ণনা করেন, রাসুল আকরাম (সা) যখন কোন ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠীর থেকে ক্ষতির ভয় করতেন তখন তিনি বলতেন,
"আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফী নুহুরিহিম ওয়া নাঊযুবিকা মিন শুরুরিহিম" অর্থাৎ "হে আল্লাহ! আমরা ওদের মুকাবিলায় তোমার শরনাপন্ন হচ্ছি এবং ওদের অনিষ্ট থেকে তোমারই কাছে পানাহ চাচ্ছি" [আবু দাউদ ও নাসায়ী বিশুদ্ধ সনদসহ হাদীসটি রেওয়ায়েত করেছেন]
(রিয়াদুস সলিহীনঃ ৯৮১)
৬১৪
হারিসা ইবনে ওহব (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সা:) কে বলতে শুনেছি:
"আমি কি তোমাদের দোজখীদের বিষয়ে জানাব না? তারা হলো: প্রত্যেক অহংকারী, সীমালংঘনকারী, অবিনয়ী ও উদ্ধত লোক"
(বুখারী, মুসলিম)
রিয়াদুস সলিহীন: ৬১৪
May 25, 2012
৩৭৮
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৭৮
"নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন বলবেনঃ ওহে! যারা আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন করেছিলে, আজ আমি তাদের সুশীতল ছায়াতলে স্থান দেব। আর এদিনে আমার ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়াই নেই।" [বুখারী ও মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৭৮
৩৮১
হযরত বারাআ ইবন আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনসারদের সম্পর্কে বলেনঃ
* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৮১
"ঈমানদাররাই তাদের (আনসারদের) ভালোবাসেন, আর মুনাফিকরাই তাদের ঈর্ষা করে। যে ব্যক্তি তাদের ভালোবাসে, মহান আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন, আর যে ব্যক্তি তাদের ঈর্ষা করে, বা দুশমনী রাখে আল্লাহ তাকে ঘৃণা করেন।" [বুখারী ও মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৮১
৩৬৪
হযরত আবু মূসা আল আশ'আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৬৪
"সৎ সহকর্মী ও পাপী সহযোগীর দৃষ্টান্ত হলোঃ একজন কস্তুরীর ব্যবসায়ী, অপরজন হাপর চালনাকারী (কামার)। কস্তরীর ব্যবসায়ী হয় তোমাকে বিনামূল্যে কস্তরী দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে তা কিনে নেবে। যদি এর দু'টোর একটিও না হয়, তবে অন্তত তুমি তার কাছে এর সুঘ্রাণ পাবে। আর হাপর চালনাকারী হয় তোমার কাপড় পুড়িয়ে দিবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে।" [বুখারী ও মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৬৪
৩৬৫
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৬৫
"চারটি বিষয়কে সামনে রেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা যেতে পারেঃ তার ধন সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য ও তার ধর্মপরায়নতা। এক্ষেত্রে ধর্মপরায়ন স্ত্রী লাভে বিজয়ী হও, তোমার হাত কল্যাণে ভরে যাবে।" [বুখারী ও মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৬৫
১৮৩
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
* রিয়াদুস সালেহীন - ১৮৩
"তোমাদের কেউই পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ না করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।" [বুখারী ও মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন - ১৮৩
May 24, 2012
২৭৮
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
* রিয়াদুস সালেহীন - ২৭৮
"যে ব্যক্তির চরিত্র এবং ব্যবহার সবচেয়ে উত্তম ঈমানের দিক থেকে সে-ই পরিপূর্ণ মুমিন। তোমাদের মধ্যে সেইসব লোক সবচেয়ে ভালো যারা তাদের স্ত্রীদের জন্য ভালো।" [তিরমিযি]
* রিয়াদুস সালেহীন - ২৭৮
২৮০
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
*রিয়াদুস সালেহীন - ২৮০
"সমগ্র পৃথিবীটাই সম্পদে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে কল্যাণকর ও উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী।" [মুসলিম]
*রিয়াদুস সালেহীন - ২৮০
২৭৭
হযরত মু'আবিয়া ইবন হাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
* রিয়াদুস সালেহীন - ২৭৭
"আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের কোন ব্যক্তির ওপর তার স্ত্রীর কি অধিকার রয়েছে?
তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার কর তাকেও আহার করাও, তুমি যখন পরিধান কর, তাকেও পরিধান করাও, কখনও চেহারা বা মুখমন্ডলে প্রহার করো না, কখনো অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ো না এবং ঘরের মধ্যে ছাড়া তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না।" [আবু দাউদ]
* রিয়াদুস সালেহীন - ২৭৭
২৭৫
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
* রিয়াদুস সালেহীন - ২৭৫
"কোন মুসলমান পুরুষ যেন কোন মুসলমান মহিলার প্রতি হিংষা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ না করে, কেননা তার কোন একটি দিক তার কাছে খারাপ লাগলেও অন্য একটি দিক তার পছন্দ হবে। অথবা তিনি (নবী) অনুরূপ কথা বলেছেন।" [মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন - ২৭৫
May 21, 2012
৩১২
হযরত আবু আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
"আমি নবী রাসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম,কোন কাজটি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়।তিনি বললেনঃ ঠিক সময়ে নামায পড়া।আমি আবার বললাম, অতঃপর কোনটি?তিনি বললেনঃ পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, অতঃপর কোন কাজটি।তিনি বললেনঃ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।"
[বুখারী ও মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ৩১২
৩১৪
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ৩১৪
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের জীবনে বিশ্বাসী সে যেন হয় ভালো কথা বলে, অন্যথায় চুপ থাকে।” [বুখারী ও মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ৩১৪
১৪০
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ১৪০
“আল্লাহ অবশ্যই তার বান্দার প্রতি এ জন্য সন্তুষ্ট হন যে, সে কোন কিছু খেয়ে তাঁর প্রশংসা করে অথবা কোন কিছু পান করে তাঁর প্রশংসা করে।” [মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ১৪০
১৪৫
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ১৪৫
“আল্লাহর দ্বীন সহজ। যে কোন ব্যক্তি এ দ্বীনকে কঠিন বানাবে তার ওপর তা চেপে বসবে। কাজেই মধ্যম ও ভারসাম্যপূর্ণ পন্থা অবলম্বন করো। আর সুখবর গ্রহণ করো এবং সকাল, সন্ধ্যায় ও শেষ রাতের কিছু অংশে ইবাদাত করে আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করো।” [বুখারী]
* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ১৪৫
১৪৪
হযরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ১৪৪
“অযথা কঠোরতা অবলম্বনকারীরা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে”। [মুসলিম]
রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ১৪৪
৮৪৮
- আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“তোমরা ঈমান না আনা পর্যন্ত জান্নাতের প্রবেশ করতে পারবে না এবং পরস্পরকে না ভালোবাসা পর্যন্ত তোমাদের ঈমান পূর্ণতা লাভ করবে না।
আমি কি তোমাদেরকে এমন কাজের কথা বলবো না, যা করলে তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে?
তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করো। “ [মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন, ২/৮৪৮
৮৪৭
- আবু উমারা বারাআ ইবনে আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে সাতটি বিষয়ের হুকুম দিয়েছেনঃ[বুখারী ও মুসলিম]
১) রোগীকে দেখতে যাওয়া
২) জানাযায় শরীক হওয়া
৩) হাঁচি দানকারীর আলহামদুলিল্লাহ বলার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা
৪) দুর্বল ও বৃদ্ধকে সাহায্য করা
৫) মাযলুমকে সহায়তা করা
৬) সালামের প্রচলন করা
৭) শপথ পূর্ণ করা
রিয়াদুস সালেহীন ২/৮৪৭
৮৪৯
আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ
* রিয়াদুস সালেহীন [২/৮৪৯]
“হে লোকেরা, সালামের ব্যাপক প্রচলন ঘটাও, অভুক্তদের আহার করাও, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সদ্ব্যবহার কর এবং যখন লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড়। তাহলে তোমরা শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। [তিরমিযী]
* রিয়াদুস সালেহীন [২/৮৪৯]
May 20, 2012
৬৯৭
"”রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোন কথা বলতেন, খুব স্পষ্ট ও পরিষ্কার করে বলতেন। শ্রোতাদের সবাই তা হৃদয়াঙ্গম করে নিতে পারতো।” [আবু দাউদ]
সংগ্রহঃ রিয়াদুস সালেহীন, খন্ডঃ ২ হাদিসঃ ৬৯৭
৭০৩
"আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কখনো অট্টহাসি দিতে দেখিনি যাতে তাঁর মুখ গহবর প্রকাশ পায়। তিনি সাধারণত মুচকি হাসি দিতেন।" [বুখারী, মুসলিম]
সংগ্রহঃ রিয়াদুস সালেহীন, খন্ডঃ ২ হাদিসঃ ৭০৩
May 19, 2012
৩৭৯
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
* রিয়াদুস সালেহীন [প্রথম খন্ড], হাদিস নং - ৩৭৯
"যার হাতে আমার প্রাণ সেই সত্ত্বার কসম করে বলছিঃ তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে যেতে পারবে না, আর পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন না করা পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজের কথা বলে দেবো না যা করলে তোমরা পরস্পর ভালোবাসতে পারবে? (তা হলো) তোমরা পরস্পর সালাম প্রথা চালু করো"। [মুসলিম]
* রিয়াদুস সালেহীন [প্রথম খন্ড], হাদিস নং - ৩৭৯
May 4, 2012
৪৫
আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি মারামারিতে অন্যকে ধরাশায়ী করে সে শক্তিশালী নয়, বরং শক্তিশালী হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখে।
(বুখারী ও মুসলিম)
১৩৭০
হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রাসুল আকরাম (সা) বলেছেনঃ এক ব্যক্তি লোকদেরকে ঋণ দিত। সে তার কর্মচারীকে বলত, তুমি যখন কোনো অভাবী লোকের কাছে ঋণ আদায় করতে যাবে তাকে ক্ষমা করে দিবে; সম্ভবত আল্লাহ কিয়ামতের দিন আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। অতএব, মৃত্যুর পর সে যখন আল্লাহর সাথে সাক্ষাত পেল আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন।
(বুখারী ও মুসলিম)
১০৪
হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা:) বলেন, মৃত ব্যক্তিকে তিনটি জিনিস অনুসরণ করে- তার পরিবার, তার মাল এবং তার আমল। তারপর দু'টি ফিরে আসে, এবং একটি তার সাথে থেকে যায়। ফিরে আসে তার পরিবার ও মাল, আর থেকে যায় তার আমল।
(বুখারী, মুসলিম)
(বুখারী, মুসলিম)
৪৭৫
উম্মুল মু'মিনিন হযরত জুয়াইরিয়া বিনতে হারিস (রা) এর ভাই আমর ইবনে হারিস (রা) বর্ননা করেন, রাসুল আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ইন্তেকালের সময় কোন দিনার- দিরহাম (অর্থ), দাস-দাসী এবং অন্য কোন দ্রব্য সামগ্রী রেখে যাননি। তবে তার মাত্র একটি সাদা খচ্চর ছিল, যার অপর তিনি সওয়ার হতেন। এ ছাড়া তাঁর তরবারী ও মুসাফিরদের জন্য সদকাকৃত কিছু জমি তিনি রেখে যান
(বুখারী)
(বুখারী)
৪৪২
হযরত আনাস (রা) বর্ননা করেন, আমি রাসুল আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, মহান আল্লাহ সুবাহানা ওয়া'তায়ালা বলেন, "হে আদম সন্তান! তুমি যতদিন পর্যন্ত আমার কাছে দু'য়া করতে থাকবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে, আমি ততদিন তোমার গুনাহ মাফ করতে থাকব, এ ক্ষেত্রে তুমি যা কিছুই করে থাকো না কেন।
হে আদম সন্তান! এ ব্যাপারে আমার কোন কার্পন্য নেই। কেননা তোমার গুনাহ যদি আকাশ সমান উঁচু হয়ে থাকে এবং তারপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকো, তাহলেও আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব।
হে আদম সন্তান! তুমি যদি আমার সাথে কোন কিছুকে শরিক না করে সম্পূর্ণ পৃথিবী সমান গুনাহ নিয়েও যদি আমার কাছে আসো, তাহলে আমিও ঐ পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমাকে কাছে ডাকবো"
(তিরমিযী)
হে আদম সন্তান! এ ব্যাপারে আমার কোন কার্পন্য নেই। কেননা তোমার গুনাহ যদি আকাশ সমান উঁচু হয়ে থাকে এবং তারপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকো, তাহলেও আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব।
হে আদম সন্তান! তুমি যদি আমার সাথে কোন কিছুকে শরিক না করে সম্পূর্ণ পৃথিবী সমান গুনাহ নিয়েও যদি আমার কাছে আসো, তাহলে আমিও ঐ পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমাকে কাছে ডাকবো"
(তিরমিযী)
May 3, 2012
৮৪৯
আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ
"হে লোকেরা, সালামের ব্যাপক প্রচলন ঘটাও, অভুক্তদের আহার করাও, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সদ্ব্যবহার কর এবং যখন লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড়। তাহলে তোমরা শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে"। [তিরমিযী]
রিয়াদুস সালেহীন [৮৪৯]
"হে লোকেরা, সালামের ব্যাপক প্রচলন ঘটাও, অভুক্তদের আহার করাও, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সদ্ব্যবহার কর এবং যখন লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড়। তাহলে তোমরা শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে"। [তিরমিযী]
রিয়াদুস সালেহীন [৮৪৯]
Subscribe to:
Posts (Atom)