Jul 25, 2012

৪৭৮

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ

"জেনে রাখ, দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছুই অভিশপ্ত।  কিন্তু আল্লাহ তা'আলার যিকর ও তিনি যা পছন্দ করেন এবং জ্ঞানী ও জ্ঞানার্জনকারী (অভিশপ্ত নয়)"। [তিরমিজি]

** রিয়াদুস সলিহীন - ৪৭৮

Jun 21, 2012

৬৮২

ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


"লজ্জাশীলতা কল্যাণই বয়ে আনে" [বুখারী ও মুসলিম]


মুসলিমের এক বর্ণনায় এরূপ রয়েছেঃ "লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণময়।"


*রিয়াদুস সলিহীন : ৬৮২

৬৮৪

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র পর্দানশীন কুমারী মেয়েদের চাইতেও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। কোন বিষয় তাঁর দৃষ্টিতে অপছন্দনীয় হলে তাঁর চেহারা দেখেই আমরা তা (তাঁর অসন্তুষ্টি) আঁচ করে নিতাম।" [বুখারী, মুসলিম]

*রিয়াদুস সলিহীন : ৬৮৪



বিশেষজ্ঞ আলিমগণ লজ্জাশীলতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেনঃ এটি এমন একটি গুণ যা ঘৃণিত ও বর্জনীয় জিনিস পরিহার করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এবং প্রাপকের প্রাপ্য যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে বাধ্য করে। আবুল কাসিম জুনাইদ (র) লজ্জাশীলতার নিম্নোক্ত সংজ্ঞা দিয়েছেনঃ

লজ্জাশীলতা হলো, মানুষ প্রথমত আল্লাহর অপরিসীম দয়া, অনুগ্রহ ও ইহসানের প্রতি লক্ষ্য করবে, তারপর নিজের ত্রুটি ও অক্ষমতা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করবে। এ উভয়বিধ চিন্তার ফলে মানসপটে যে ভাবের উদয় হয়, তাকেই বলা হয় লজ্জাশীলতা।



৫১৭

আবু উমামা ইয়াস ইবনে সালাবা আল-আনসারী আল-হারিসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণ তাঁর কাছে দুনিয়া সম্পর্কে আলোচনা করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমরা কি শুনছো না, তোমরা কি শুনছো না? আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা ত্যাগ করা ঈমানের লক্ষণ, আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা ত্যাগ করা ঈমানের নিদর্শন অর্থাৎ সাদাসিধা ও অনাড়ম্বর জীবন যাপন)"। [আবু দাউদ]
   
 * রিয়াদুস সালেহীন : ৫১৭

৫১৯

আসমা বিনতে ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জামার আস্তিন ছিলো কব্জি পর্যন্ত।” [আবু দাউদ, তিরমিযি]
 * রিয়াদুস সালেহীন : ৫১৯

৫১৪

হযরত ইবনুল আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একনাগাড়ে কয়েকদিন পর্যন্ত ভুখা থাকতেন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনের রাতের খাবার জুটতো না। প্রায়শই তাদের খাদ্য ছিলো যবের রুটি।” [তিরমিযি]
   
 * রিয়াদুস সালেহীন:৫১৪

৫০৭

হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 
  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চামড়ার একটা বিছানা ছিলো, এর ভেতরে ভরা ছিলো খেজুরের ছাল।” [বুখারী]
   
 * রিয়াদুস সালেহীন: ৫০৭

Jun 20, 2012

৬৩৭

হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ 
  
“তোমরা সহজ নীতি ও আচরণ অবলম্বন করো, কঠোর নীতি অবলম্বন করো না। সুসংবাদ শুনাতে থাকো এবং পরস্পর ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িও না।” [বুখারী ও মুসলিম]
  
 * রিয়াদুস সালেহীন: ৬৩৭

৫৯০

হযরত নাওয়াস ইবনে সাম'আন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ 
  
“পুণ্য ও সততা সচ্চরিত্রেরই অপর নাম। গুনাহ হলো সেই জিনিস যা তোমার অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং লোকে জেনে ফেলুক তা তুমি অপছন্দ করো।” [মুসলিম]
   
 * রিয়াদুস সালেহীন: ৫৯০

৬৭৪

হযরত আবু সাঈদ আবদুর রহমান ইবনে সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ 
 
“হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! নেতৃত্বপ্রার্থী হয়ো না। কারণ প্রার্থী না হয়ে নেতৃত্ব প্রাপ্ত হলে তুমি এ ব্যাপারে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। পক্ষান্তরে প্রার্থী হয়ে নেতৃত্ব লাভ করলে তোমার উপরেই যাবতীয় দ্বায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে। তুমি কোন বিষয়ে শপথ করার পর তার বিপরীতে কল্যাণ লক্ষ্য করলে তখন যেটা ভালো সেটাই করবে এবং শপথের কাফফারা আদায় করবে।” [বুখারী ও মুসলিম]



* রিয়াদুস সালেহীন : ৬৭৪

Jun 17, 2012

৪৬১

হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

"তিনটি জিনিস মৃতের পেছনে পেছনে (কবর পর্যন্ত) যায়ঃ তার পরিজন, তার ধন-সম্পদ ও তার আমল (নেক বা বদ)। অতঃপর দু'টি ফিরে আসে এবং একটি (তার সাথে) থেকে যায়। তার পরিজন ও সম্পদ ফিরে আসে এবং তার আমল তার সাথে থেকে যায়।" [বুখারী ও মুসলিম]

** রিয়াদুস সালেহীনঃ ৪৬১

Jun 11, 2012

১২৫

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"ঈমানের ৭০-এর কিছু বেশি অথবা ৬০-এর কিছু বেশি শাখা-প্রশাখা আছে। তন্মধ্যে উত্তম হচ্ছে "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ" বলা, আর নিম্নতম হচ্ছে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা। আর লজ্জাও ঈমানের একটি শাখা।" [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সলিহীন : ১২৫

১২৭

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"আমি এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়েছি, যে জান্নাতে এ জন্য চলাফেরা করছে যে, সে একটা পথের উপর থেকে একটা গাছ কেটে ফেলে দিয়েছিলো। এটা মুসলিমদেরকে কষ্ট দিচ্ছিলো।" [মুসলিম]

* রিয়াদুস সলিহীন : ১২৭

Jun 9, 2012

৪৮৫

হযরত কা'ব ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"সম্পদ ও আভিজাত্যের প্রতি মানুষের লোভ তার দ্বীনের যে মারত্মক ক্ষতি করে, বকরীর পালে ছেড়ে দেয়া দু'টি ক্ষুধার্ত নেকড়েও বকরীর পালের ততো ক্ষতি করতে পারেনা।" [তিরমিযি]

* রিয়াদুস সলিহীন : ৪৮৫

৪৯১

হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত তার পরিবার কোনদিন একনাগাড়ে দু'দিন পেটপুরে যবের রুটিও খেতে পায়নি।" [বুখারী ও মুসলিম]

অপর এক বর্ণনায় আছেঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মদীনা আসার পর থেকে তার ইন্তিকাল পর্যন্ত তার পরিবারের লোকজন একনাগাড়ে তিনদিন পেট ভরে গমের রুটিও খেতে পায়নি।


* রিয়াদুস সলিহীন : ৪৯১

৮৪১

হযরত আবু সাঈদ আল খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ
 
"তোমাদের কেউ তার পছন্দনীয় স্বপ্ন দেখলে সেটা হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে। তার জন্য আল্লাহর প্রশংসা করা এবং (বন্ধুদের) কাছে তা বিবৃত করা উচিত। অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ তখন সে যাকে ভালোবাসে তাকে ছাড়া আর কাউকে সেটা না বলা উচিত। আর সে যদি অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখে তাহলে এটা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। তার ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া এবং কারো কাছে তা বর্ণনা না করা উচিত। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। " [বুখারী ও মুসলিম]


* রিয়াদুস সলিহীন : ৮৪১

Jun 6, 2012

১৮১

হযরত আবু রুকাইয়া তামীম ইবন আওস আদ-দারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"দ্বীন (ইসলামের মূল কথা) হচ্ছে জনগণের কল্যাণ কামনা করা। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, কার জন্য? তিনি বললেনঃ মহান আল্লাহ তাঁর কিতাব, তার রাসূল, মুসলমানদের, ইমাম (নেতা) এবং সমস্ত মুসলমানদের জন্য।" [মুসলিম]


* রিয়াদুস সলিহীন : ১৮১

Jun 4, 2012

২৩৩

হযরত ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলুম করতে পারে আর না তাকে শত্রুর হাতে সোপর্দ করতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয়, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের কোন কষ্ট বা অসুবিধা দূর করে দেয়, এর বিনিময়ে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার কষ্ট ও বিপদ থেকে অংশবিশেষ দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।" [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ২৩৩

৩৪০

হযরত মুগীরা ইবনে শু'বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"আল্লাহ তা'আলা পিতামাতাকে কষ্ট দেয়া, কৃপণতা করা, অবৈধভাবে অন্যের মাল দাবী করা এবং কন্যা সন্তানের জীবন্ত প্রোথিত করা তোমাদের প্রতি হারাম করে দিয়েছেন। নিরর্থক ও অপ্রয়োজনীয় কথা বলা, অধিক চাওয়া এবং সম্পদ বিনষ্ট করা তিনি তোমাদের জন্য অপছন্দ করেছেন।" [বুখারী ও মুসলিম]


* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ৩৪০

Jun 3, 2012

৩০৮

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
 
"যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানের ইজ্জত করে আদর-আপ্যায়ন করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে, অথবা নীরব থাকে।"  [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ৩০৮

২৭৩

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ
"আমার কাছ থেকে মেয়েদের সাথে সদ্ব্যবহার করার শিক্ষা গ্রহণ কর। কেননা নারী জাতিকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে ওপরের হাড়টা সর্বাপেক্ষা বাঁকা। অতএব তুমি যদি সোজা করতে যাও, তবে ভেঙ্গে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি ফেলে রাখ তবে বাঁকা হতেই থাকবে। অতএব, নারীদের সাথে ভালো ব্যবহার কর। "  [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ২৭৩

Jun 2, 2012

২২৯

হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন কাজ (ইবাদত) করার ঐকান্তিক আগ্রহ থাকা সত্বেও তা পরিত্যাগ করতেন এই ভয়ে যে, লোকেরা (তার দেখাদেখি) তা নিয়মিত করতে থাকবে। ফলে এটা তাদের ওপর ফরয করে দেয়া হবে।" [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ২২৯

২২৬

হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
"কতিপয় আরব বেদুইন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এল। তারা জিজ্ঞেস করলো, আপনারা কি আপনাদের ছোট্ট শিশুদের চুমু খান? তিনি বললেনঃ হাঁ। তারা বললো, আল্লাহর কসম! আমরা কিন্তু চুমু দেইনা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আমি কি এর মালিক বা জিম্মাদার হতে পারি, যদি মহান আল্লাহ তোমাদের অন্তর থেকে রহমত ও অনুগ্রহকে তুলে নিয়ে নেন?" [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ২২৬

২১০

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
"কোন ব্যক্তির ওপর তার অপর ভাইয়ের যদি কোন দাবী থাকে, তা যদি তার মান-ইজ্জতের ওপর অথবা অন্য কিছুর ওপর যুলুম সম্পর্কিত হয়, তবে সে যেন আজই কপর্দকহীন নিঃস্ব হওয়ার পূর্বে তার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করে নেয়। অন্যথায় (কিয়ামতের দিন) তার যুলুমের সমপরিমাণ নেকী তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হবে। যদি তার কোন নেকী না থাকে তবে তার প্রতিপক্ষের গুনাহ থেকে (যুলুমের সমপরিমাণ) তার হিসাবের অন্তর্ভুক্ত করে দেয়া হবে।"  [বুখারী]

* রিয়াদুস সালেহীন - ২১০

May 31, 2012

৭৫৮

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বর্ননা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ

"তোমরা উটের ন্যায় একইবারে (অর্থাৎ এক নিশ্বাসে) পানি পান করো না। দুই-তিনবার শ্বাস নিয়ে পান করো। আর পানি পান করার সময় 'বিসমিল্লাহ' এবং পান শেষ হলে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলো" [তিরমিযি]

রিয়াদুস সলিহীনঃ ৭৫৮

৯৮১

হযরত আবু মুসা আশ-আরি (রা) বর্ণনা করেন, রাসুল আকরাম (সা) যখন কোন ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠীর থেকে ক্ষতির ভয় করতেন তখন তিনি বলতেন, 

          "আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফী নুহুরিহিম ওয়া নাঊযুবিকা মিন শুরুরিহিম" অর্থাৎ "হে আল্লাহ! আমরা ওদের মুকাবিলায় তোমার শরনাপন্ন হচ্ছি এবং ওদের অনিষ্ট থেকে তোমারই কাছে পানাহ চাচ্ছি" [আবু দাউদ ও নাসায়ী বিশুদ্ধ সনদসহ হাদীসটি রেওয়ায়েত করেছেন] 

৬১৪

হারিসা ইবনে ওহব (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সা:) কে বলতে শুনেছি:
 

   "আমি কি তোমাদের দোজখীদের বিষয়ে জানাব না? তারা হলো: প্রত্যেক অহংকারী, সীমালংঘনকারী, অবিনয়ী ও উদ্ধত লোক" 


(বুখারী, মুসলিম)


May 25, 2012

৩৭৮

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

"নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন বলবেনঃ ওহে! যারা আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন করেছিলে, আজ আমি তাদের সুশীতল ছায়াতলে স্থান দেব। আর এদিনে আমার ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়াই নেই।"  [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৭৮

৩৮১

হযরত বারাআ ইবন আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনসারদের সম্পর্কে বলেনঃ

"ঈমানদাররাই তাদের (আনসারদের) ভালোবাসেন, আর মুনাফিকরাই তাদের ঈর্ষা করে। যে ব্যক্তি তাদের ভালোবাসে, মহান আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন, আর যে ব্যক্তি তাদের ঈর্ষা করে, বা দুশমনী রাখে আল্লাহ তাকে ঘৃণা করেন।"  [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৮১

৩৬৪

হযরত আবু মূসা আল আশ'আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

"সৎ সহকর্মী ও পাপী সহযোগীর দৃষ্টান্ত হলোঃ একজন কস্তুরীর ব্যবসায়ী, অপরজন হাপর চালনাকারী (কামার)। কস্তরীর ব্যবসায়ী হয় তোমাকে বিনামূল্যে কস্তরী দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে তা কিনে নেবে। যদি এর দু'টোর একটিও না হয়, তবে অন্তত তুমি তার কাছে এর সুঘ্রাণ পাবে। আর হাপর চালনাকারী হয় তোমার কাপড় পুড়িয়ে দিবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে।"  [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৬৪

৩৬৫

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

"চারটি বিষয়কে সামনে রেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা যেতে পারেঃ তার ধন সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য ও তার ধর্মপরায়নতা। এক্ষেত্রে ধর্মপরায়ন স্ত্রী লাভে বিজয়ী হও, তোমার হাত কল্যাণে ভরে যাবে।" [বুখারী ও মুসলিম]


* রিয়াদুস সালেহীন - ৩৬৫

১৮৩

হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

"তোমাদের কেউই পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ না করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।" [বুখারী ও মুসলিম]

* রিয়াদুস সালেহীন - ১৮৩

May 24, 2012

২৭৮

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

"যে ব্যক্তির চরিত্র এবং ব্যবহার সবচেয়ে উত্তম ঈমানের দিক থেকে সে-ই পরিপূর্ণ মুমিন। তোমাদের মধ্যে সেইসব লোক সবচেয়ে ভালো যারা তাদের স্ত্রীদের জন্য ভালো।" [তিরমিযি]


* রিয়াদুস সালেহীন - ২৭৮

২৮০

হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

"সমগ্র পৃথিবীটাই সম্পদে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে কল্যাণকর ও উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী।" [মুসলিম]

*রিয়াদুস সালেহীন - ২৮০

২৭৭

হযরত মু'আবিয়া ইবন হাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

"আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের কোন ব্যক্তির ওপর তার স্ত্রীর কি অধিকার রয়েছে?
তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার কর তাকেও আহার করাও, তুমি যখন পরিধান কর, তাকেও পরিধান করাও, কখনও চেহারা বা মুখমন্ডলে প্রহার করো না, কখনো অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ো না এবং ঘরের মধ্যে ছাড়া তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না।" [আবু দাউদ]

* রিয়াদুস সালেহীন - ২৭৭

২৭৫

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

"কোন মুসলমান পুরুষ যেন কোন মুসলমান মহিলার প্রতি হিংষা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ না করে, কেননা তার কোন একটি দিক তার কাছে খারাপ লাগলেও অন্য একটি দিক তার পছন্দ হবে। অথবা তিনি (নবী) অনুরূপ কথা বলেছেন।" [মুসলিম]


* রিয়াদুস সালেহীন - ২৭৫

May 21, 2012

৩১২

হযরত আবু আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 
 
 
"আমি নবী রাসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, 
কোন কাজটি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। 
তিনি বললেনঃ ঠিক সময়ে নামায পড়া। 
আমি আবার বললাম, অতঃপর কোনটি? 
তিনি বললেনঃ পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা। 
আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, অতঃপর কোন কাজটি। 
তিনি বললেনঃ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।"
 [বুখারী ও মুসলিম]

 
* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ৩১২

৩১৪

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের জীবনে বিশ্বাসী সে যেন হয় ভালো কথা বলে, অন্যথায় চুপ থাকে।” [বুখারী ও মুসলিম]




* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ৩১৪

১৪০

হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ




“আল্লাহ অবশ্যই তার বান্দার প্রতি এ জন্য সন্তুষ্ট হন যে, সে কোন কিছু খেয়ে তাঁর প্রশংসা করে অথবা কোন কিছু পান করে তাঁর প্রশংসা করে।” [মুসলিম]



* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ১৪০

১৪৫

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ




“আল্লাহর দ্বীন সহজ। যে কোন ব্যক্তি এ দ্বীনকে কঠিন বানাবে তার ওপর তা চেপে বসবে। কাজেই মধ্যম ও ভারসাম্যপূর্ণ পন্থা অবলম্বন করো। আর সুখবর গ্রহণ করো এবং সকাল, সন্ধ্যায় ও শেষ রাতের কিছু অংশে ইবাদাত করে আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করো।” [বুখারী]




* রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ১৪৫

১৪৪

হযরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


 “অযথা কঠোরতা অবলম্বনকারীরা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে”। [মুসলিম]




রিয়াদুস সালেহীন [১ম খন্ড] : ১৪৪

৮৪৮

  • আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

“তোমরা ঈমান না আনা পর্যন্ত জান্নাতের প্রবেশ করতে পারবে না এবং পরস্পরকে না ভালোবাসা পর্যন্ত তোমাদের ঈমান পূর্ণতা লাভ করবে না।
আমি কি তোমাদেরকে এমন কাজের কথা বলবো না, যা করলে তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে?
তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করো। “  [মুসলিম]

 * রিয়াদুস সালেহীন, ২/৮৪৮

৮৪৭

  • আবু উমারা বারাআ ইবনে আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে সাতটি বিষয়ের হুকুম দিয়েছেনঃ
১) রোগীকে দেখতে যাওয়া
২) জানাযায় শরীক হওয়া
৩) হাঁচি দানকারীর আলহামদুলিল্লাহ বলার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা
৪) দুর্বল ও বৃদ্ধকে সাহায্য করা
৫) মাযলুমকে সহায়তা করা
৬) সালামের প্রচলন করা
৭) শপথ পূর্ণ করা

[বুখারী ও মুসলিম]



 

রিয়াদুস সালেহীন ২/৮৪৭

৮৪৯

আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ

“হে লোকেরা, সালামের ব্যাপক প্রচলন ঘটাও, অভুক্তদের আহার করাও, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সদ্ব্যবহার কর এবং যখন লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড়। তাহলে তোমরা শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। [তিরমিযী]

* রিয়াদুস সালেহীন [২/৮৪৯]

May 20, 2012

৬৯৭

  • আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
  • "”রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোন কথা বলতেন, খুব স্পষ্ট ও পরিষ্কার করে বলতেন। শ্রোতাদের সবাই তা হৃদয়াঙ্গম করে নিতে পারতো।” [আবু দাউদ]

    সংগ্রহঃ রিয়াদুস সালেহীন, খন্ডঃ ২ হাদিসঃ ৬৯৭

    ৭০৩


  • আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

  • "আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কখনো অট্টহাসি দিতে দেখিনি যাতে তাঁর মুখ গহবর প্রকাশ পায়। তিনি সাধারণত মুচকি হাসি দিতেন।" [বুখারী, মুসলিম]

    সংগ্রহঃ রিয়াদুস সালেহীন, খন্ডঃ ২ হাদিসঃ ৭০৩

    May 19, 2012

    ৩৭৯

    হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


    "যার হাতে আমার প্রাণ সেই সত্ত্বার কসম করে বলছিঃ তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে যেতে পারবে না, আর পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন না করা পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজের কথা বলে দেবো না যা করলে তোমরা পরস্পর ভালোবাসতে পারবে? (তা হলো) তোমরা পরস্পর সালাম প্রথা চালু করো"। [মুসলিম]


    * রিয়াদুস সালেহীন [প্রথম খন্ড], হাদিস নং - ৩৭৯

    May 4, 2012

    ৪৫

    আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি মারামারিতে অন্যকে ধরাশায়ী করে সে শক্তিশালী নয়, বরং শক্তিশালী হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখে।

    (বুখারী ও মুসলিম) 

    ১৩৭০

    হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রাসুল আকরাম (সা) বলেছেনঃ এক ব্যক্তি লোকদেরকে ঋণ দিত। সে তার কর্মচারীকে বলত, তুমি যখন কোনো অভাবী লোকের কাছে ঋণ আদায় করতে যাবে তাকে ক্ষমা করে দিবে; সম্ভবত আল্লাহ কিয়ামতের দিন আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। অতএব, মৃত্যুর পর সে যখন আল্লাহর সাথে সাক্ষাত পেল আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন।

    (বুখারী ও মুসলিম)

    ১০৪

    হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা:) বলেন, মৃত ব্যক্তিকে তিনটি জিনিস অনুসরণ করে- তার পরিবার, তার মাল এবং তার আমল। তারপর দু'টি ফিরে আসে, এবং একটি তার সাথে থেকে যায়। ফিরে আসে তার পরিবার ও মাল, আর থেকে যায় তার আমল।

    (বুখারী, মুসলিম)



    ৪৭৫

    উম্মুল মু'মিনিন হযরত জুয়াইরিয়া বিনতে হারিস (রা) এর ভাই আমর ইবনে হারিস (রা) বর্ননা করেন, রাসুল আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ইন্তেকালের সময় কোন দিনার- দিরহাম (অর্থ), দাস-দাসী এবং অন্য কোন দ্রব্য সামগ্রী রেখে যাননি। তবে তার মাত্র একটি সাদা খচ্চর ছিল, যার অপর তিনি সওয়ার হতেন। এ ছাড়া তাঁর তরবারী ও মুসাফিরদের জন্য সদকাকৃত কিছু জমি তিনি রেখে যান


    (বুখারী)

    ৪৪২



    হযরত আনাস (রা) বর্ননা করেন, আমি রাসুল আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, মহান আল্লাহ সুবাহানা ওয়া'তায়ালা বলেন, "হে আদম সন্তান! তুমি যতদিন পর্যন্ত আমার কাছে দু'য়া করতে থাকবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে, আমি ততদিন তোমার গুনাহ মাফ করতে থাকব, এ ক্ষেত্রে তুমি যা কিছুই করে থাকো না কেন।
    হে আদম সন্তান! এ ব্যাপারে আমার কোন কার্পন্য নেই। কেননা তোমার গুনাহ যদি আকাশ সমান উঁচু হয়ে থাকে এবং তারপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকো, তাহলেও আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব।
    হে আদম সন্তান! তুমি যদি আমার সাথে কোন কিছুকে শরিক না করে সম্পূর্ণ পৃথিবী সমান গুনাহ নিয়েও যদি আমার কাছে আসো, তাহলে আমিও ঐ পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমাকে কাছে ডাকবো"


    (তিরমিযী)

    May 3, 2012

    ৮৪৯

    আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ


    "হে লোকেরা, সালামের ব্যাপক প্রচলন ঘটাও, অভুক্তদের আহার করাও, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সদ্ব্যবহার কর এবং যখন লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড়। তাহলে তোমরা শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে"। [তিরমিযী]

    রিয়াদুস সালেহীন [৮৪৯]

    Mar 27, 2012

    ২৪৯

    হযরত উম্মে কুলসুম (রা) বর্ননা করেন, আমি রাসূলে আকরাম (সা) কে বলতে শুনেছি, কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে পরস্পর বিরোধী দুই ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন করে দেয়, সে মিথ্যাবাদী নয়
    (বুখারী ও মুসলিম থেকে রিয়াদুস সলিহীনঃ ২৪৯)


    মুসলিমের অপর এক বর্ননায় এসেছে, উম্মে কুলসুম (রা) আরো বর্ননা করেনঃ আমি রাসুল (সা) কে মাত্র তিনটা ক্ষেত্রে মিথ্যা বলার অনুমতি দিতে শুনেছিঃ
    ১। বিবদমান দুই দলের মধ্যে মিথ্যা বলার মাধ্যমে মৈত্রী স্থাপন করে দেয়া
    ২। যুদ্ধের ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া (তথ্য গোপন করা)
    ৩। স্বামী-স্ত্রীর একান্ত কথা বার্তায় মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া

    Mar 23, 2012

    ১১২৭

    হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বর্ণনা করেন, 
    রাসুলে আকরাম (সা) জুম'আর (ফরজ) নামাজের পর বাসায় ফিরে যেতেন এবং বাসায় দুই রাকায়াত সুন্নত নামাজ আদায় করতেন [মুসলিম]
      * রিয়াদুস সলিহীন

    ১১২৬

    হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ 
    "যখন তোমাদের কেউ জুম'আর নামায আদায় করল তখন সে যেন তারপর চার রাকায়াত সুন্নত নামায পড়ে" [মুসলিম]

    **  রিয়াদুস সলিহীন - ১১২৬

    ১০৯৮

    হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বলেন,
    "রাসুলুল্লাহ (সা) এর সঙ্গে জুম'আর পর দুই রাকায়াত (সুন্নত) নামায পড়েছেন।"[বুখারী ও মুসলিম]

    * রিয়াদুস সলিহীন - ১০৯৮

    Mar 22, 2012

    ১২১

     হযরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


    "কোন সৎকাজকে অবজ্ঞা করো না, যদিও তা তোমার ভাই এর সাথে হাসিমুখে সাক্ষাত করার কাজ হয়।" [মুসলিম]




    রিয়াদুস সলিহীন [প্রথম খন্ড] ১২১

    ১০১

    হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


    "দোযখকে লোভনীয় জিনিস দিয়ে আড়াল করে রাখা হয়েছে। আর জান্নাতকে দুঃখ-কষ্টের আড়ালে রাখা হয়েছে।" [বুখারী ও মুসলিম]



    সূত্রঃ রিয়াদুস সলিহীন [প্রথম খন্ড] ১০১

    ৪৩৬

    হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


    আল্লাহ সেই বান্দার উপর অবশ্যই সন্তুষ্ট থাকেন, যে এক গ্রাস খাদ্য গ্রহণ করেই তাঁর প্রশংসা করে এবং এক ঢোক পানীয় পান করেই তাঁর প্রশংসা করে (আলহামদুলিল্লাহ বলে)। [মুসলিম]



    * রিয়াদুস সালেহীন (২য় খন্ড) — ৪৩৬ 

    ৪৩৩

    ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ




    কিয়ামাতের দিন মুমিন ব্যক্তিকে তার রবের কাছে নিয়ে আসা হবে, এমনকি তিনি তাকে তার রহমতের পর্দায় ঢেকে রাখবেন। অতঃপর তিনি তাকে তার সমস্ত গুনাহর কথা স্বীকার করাবেন এবং বলবেনঃ তুমি কি এই গুনাহ চিনতে পারছো, তুমি কি এই গুনাহ চিনতে পারছো? সে বলবে, হে আমার রব! আমি চিনতে পারছি। তিনি বলবেন, দুনিয়ায় আমি এটা তোমার পক্ষ থেকে ঢেকে রেখেছিলাম, আর আজ এটা তোমাকে মাফ করে দিচ্ছি। অতঃপর তাকে সৎ কাজসমূহের একটি আমলনামা দান করা হবে। [বুখারী ও মুসলিম]




    * রিয়াদুস সালেহীন (২য় খন্ড) — ৪৩৩

    ৪২২

    আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ


    সেই মহান সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার জীবন! তোমরা যদি গুনাহ না করতে, তাহলে আল্লাহ তোমাদের তুলে নিয়ে যেতেন এবং তোমাদের জায়গায় এমন জাতিকে আনতেন, যারা গুনাহ করে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতো, অতঃপর আল্লাহ তাদের মাফ করে দিতেন”। [মুসলিম]


    * রিয়াদুস সালেহীন (২য় খন্ড) — ৪২২

    ৪১৩

    আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ  

    মহান আল্লাহ বলেনঃ যে ব্যক্তি একটি সৎ কাজ করবে, সে এর দশগুণ অথবা অধিক সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি একটি অন্যায় করবে, সে তেমনি একটি অন্যায়ের শাস্তি পাবে অথবা আমি মাফ করে দেবো। যে ব্যক্তি আমার এক বিঘত নিকটবর্তী হবে, আমি তার এক হাত নিকটবর্তী হবো; যে ব্যক্তি আমার এক হাত নিকটবর্তী হবে, আমি তার দুই হাত নিকটবর্তী হবো। যে ব্যক্তি হেঁটে হেঁটে আমার দিকে আসবে আমি দৌড়ে তার দিকে যাবো। যে ব্যক্তি পৃথিবী সমান গুনাহ নিয়ে আমার সাথে সাক্ষাত করবে, অথচ যে আমার সাথে কোন কিছু শরীক করেনি, আমি তার সাথে অনুরূপ (পৃথিবীভর্তি) ক্ষমা নিয়ে সাক্ষাত করবো। [মুসলিম]



    * রিয়াদুস সালেহীন (২য় খন্ড) — ৪১৩

    ৪৭২



    আবুল আব্বাস সাহল ইবনে সা’দ আস-সায়েদী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ


    “এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কোন কাজ বলে দিন, যখন আমি তা করবো তখন আল্লাহ আমাকে ভালোবাসবেন এবং মানুষও আমাকে ভালোবাসবে। তিনি বলেন, তুমি দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হও, আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসবেন এবং মানুষের কাছে যা আছে, তার প্রতিও অনাসক্ত হও তাহলে মানুষও তোমাকে ভালোবাসবে।” [ইবনে মাজাহ]




    * রিয়াদুস সালেহীন (২য় খন্ড) — ৪৭২